• PRESS CONFERENCE – Dhaka Reporters unity – 08/09/2024

    PRESS CONFERENCE – Dhaka Reporters unity – 08/09/2024

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি/প্রেস রিলিজ

    ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশী এক লাখ দশ হাজার বাংলাদেশী কর্মীদের ভাগ্য নির্ধারনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলনীর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি
    বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) এবং
    বাংলাদেশ প্রবাসী উন্নয়ন সমিতির আহ্বান।

     

    ২০২৩-২০২৪ সালে ইতালি সরকারের দেয়া প্রায় এক লাখ দশ হাজার ওয়ার্ক পারমিটের বিপরিতে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীর ভিসা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইতালি সরকারের প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলনীর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার আশু সমাধানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
    আবেদনে বলা হয়েছে, ইতালি সরকারের ঘোষিত ইমিগ্রেশন ডিক্রি ২০২৩-২০২৪-২০২৫ এই তিন বছরের নির্ধারিত বিদেশী কর্মীদের আইনী প্রবেশের প্রবাহের পরিকল্পনায় প্রদত্ব ৪৫২.০০০ কোটার অধিনে ২০২৪-২০২৫ সালের ইতালীয় মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক লাখ দশ হাজার বাংলাদেশী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট তথা N.O.C  বা   NULLA OSTA  প্রদান করে।
    ওয়ার্ক পারমিট অধিনে ২০২৪-২০২৫ সালে প্রায় এক লাখ দশ হাজার ভিসার আবেদন ইতালিয়ান দূতাবাসের ভিসা প্রসেসিং সেন্টার তথা VFS GLOBAL ITALY এর মাধ্যমে আবেদন জমা করা হয়। ইতালির ভিসা নীতির অধিনে ইতালিয় আইনে বলা হয়েছে, আবেদন জমার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে দূতাবাস ভিসার আবেদন নিষপত্তি করবেন।
    আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী ইতালি সরকারের দেয়া ওয়ার্ক পারমিট হাতে নিয়ে অভিবাসন ভিসার আবেদন জমার জন্য অপেক্ষা করছে এবং ভিসা আবেদন জমা দেয়ার পরে ১২ থেকে ১৪ মাস যাবত ভিসা ডেলিভারির অপেক্ষায়। ইতালি হতে সরকার কর্তৃক কাজের জন্য ভিসার অনুমতি (N.O.C  বা   NULLA OSTA) প্রদানের পরেও গত ৬ মাস হতে ১২ মাসের মধ্যে ভিসা আবেদন জমা করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আবেদন জমা করতে পারছে না। আবেদনে আরো বলা হয়, ইতালিয়ান দূতাবাস ও তার অনুমোদিত ভিসা প্রসেসিং সেন্টার VFS GLOBAL কর্তৃক টাকার বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান ও ভিসার ডেলিভারি বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে শত কোটি টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে যার কোন সুবিচার কেহ পায়নি। ইতিমধ্যে ইতালিয়ান দূতাবাস ও VFS GLOBAL ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তারা তাদের কোন কথা রক্ষা করেন নাই। ভিসা প্রদানে কোন অগ্রগতি নেই। একজন অভিবাসী কর্মী ১২ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত কাজের অপেক্ষামান থাকা, আয় রোজগার না থাকা, বিদেশে যাত্রার প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরেও ভিসা না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতি সহ মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    বাংলাদেশ প্রবাসী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা বরাবর আমরা বিষয়টি নিয়ে আবেদন পেশ করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমরা ইতোমধ্যে একটি আবেদন জানানো হয়েছে।
    ইউরোপে ইতালির মত একটি ধনী দেশ, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের জন্য স্বপ্নের দেশ। একজন বাংলাদেশী বৈধ বা অবৈধ বাছ বিচার না করে, যে কোন মুল্যে ইতালি যাবার জন্য চেষ্টা করে। ইতালির কাজের স্পনসর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে বিগত কয়েক বছরে, কয়েক লাখ কর্মী ইতালিতে যাওয়ার কারনে বাংলাদেশের কর্মীদের মধ্যে যে কোন মুল্যে ইতালি যাবার একটা প্রতিযোগীতা রয়েছে। যার ফলোশ্রæতিতে আমরা প্রতিমাসেই অবৈধ ভাবে ইতালিতে যাবার চেষ্টা কালে ভুমধ্য সাগরে ডুবে মারা যাবার খবর পাই।
    ২০০৩ সালে শুরু হয়ে ২০১২ সালে একতরফা ভাবে ইতালি শ্রম বাজার বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০২০ সালে বাংলাদেশ হতে ইতালিতে অবৈধ ইমিগ্রেশন প্রতিরোধে ইতালি ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগীতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় পুনরায় ইতালির স্পনসর সিসটেম তথা ইতালি সরকারের ঘোষিত ইমিেেগ্রশন ডিক্রি এর আওতায় বাংলাদেশী কর্মীদের অধিকার ফেরত পাওয়া যায়। কভিড এর পর ২০২১ সাল হতে পুনরায় বাংলাদেশ হতে কর্মীরা ইতালি ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়া শুরু করে। সরকারের নিয়ন্ত্রন না থাকায় ব্যাক্তি উদ্দ্যেগে ২০২২-২০২৩-২০২৪ সালে শুধু মাত্র বাংলাদেশীদের প্রায় ৬০০.০০০ আবেদন রেজিষ্টার করা হয়। যার মধ্য হতে প্রায় এক লাখের অধিক আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অবশ্যই এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ফেক ওয়ার্ক পারমিট আছে, ফলে মুলত ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়াটি ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাসের জন্য একটি দুরহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ইতালি ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগীতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর ইতালি সরকারে সহযোগীতা ও শ্রম বাজার উন্মোক্ত করার পরে এই সকল পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ সরকার তার দায় এড়াতে পারে না। সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে ইতালী ও ইউরোপে প্রতি বছর এক কোটি শ্রমিক ঘাটতির বাজারে অপরিসীম সুযোগ হাসিল করা সম্ভব।
    শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন আরো বলেন, ইতালি ও ইউরোপে এই মুহর্তে প্রায় এক কোটির উপরে শ্রমিক ঘাটিত রয়েছে TALENT PARTNERSHIP PROGRAM এর আওতায় ইউরোপী দেশ গুলি বাংলাদেশ হতে কর্মী নিতে চায়। এর মধ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশ সরকার চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ইউরোপের বিশাল শ্রম বাজারে প্রয়োজন অনুসারে যারা ভাষা ও কাজ শিখে দক্ষ হবে, তারাই সেই বাজারে প্রয়োজন পুরন করবেন এবং সফল হবেন। অবৈধ পথে নয়, এজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ভুমিকা গ্রহন করতে হবে।
    ইউরোপীয় অভিবাসন বিষয়ক সমন্বয়ক মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, বর্তমানে ভিসা জমাকৃত ও জমা করার জন্য অপেক্ষমান প্রায় ১০০ থেকে ১১০ হাজার ইতালিতে অভিবাসন প্রত্যাশীর পক্ষ হতে ২০২৩-২০২৪ সালের ইতালি সরকারের দেয়া ওয়ার্ক পারমিটের বিপরিতে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের দ্রæত ভিসা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইতালি ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রæত হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন।
    ইউরোপীয় অভিবাসন বিষয়ক সমন্বয়ক ও বিএমডিএফ ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জয় বলেন, ইতালি দূতাবাসে জমাকৃত পাসপোর্ট ও ভিসা প্রত্যাশীর অধিকাংশই বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা রেমিটেন্স যোদ্ধা অভিবাসী কর্মী। মধ্যপাচ্যে গিয়ে শরীরের ঘাম ঝড়ানো উপার্জিত সমুদয় অর্থ বিভিন্ন এজেন্টের হাতে তুলে দিয়েছে স্বপ্ন পুরনের আশায়। ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশী সকল অভিবাসী কর্মীদের অনিশ্চয়তা, অন্ধকার জীবনের মুক্তি ও আলোকিত প্রবাস জীবন নিশ্চিত করতে দ্রæত কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে, ইতালি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

    লিগ্যাল এইড সার্ভিস ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারের পরিচালক এডভোকেট কামরুজ্জামান ইতালীয়ান দূতাবাস ১২-১৪ মাস ধরে ভিসা প্রদান বন্ধ করার মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের কাজের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। তারা অনেকে বিভিন্ন দেশে কাজ ছেড়ে ইতালীতে যাবার আশায় বাংলাদেশে এসে ১৫-২০ মাস বসে আছে। ফলে তাদের ঐদেশের ভিসা ও কাজ দুইটাই বাতিল হয়ে গেছে এদিকে ইতালি ভিসা পাবার কোন গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন। আগামীকাল ৯ই সেপ্টেম্বর সাধারন ভুক্তভোগী ইতালীতে কাজের ভিসার দাবীতে নিজেরা স্বপনোদিত হয়ে অনশন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। আমরা তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সবাইকে ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল ৯:০০টায় গুলশান-২ এর ৮৩ নং সড়কে বিচারপতি সাহাবদ্দিন পার্কে সমবেতে হয়ে ভিসার সমস্যা নিরশনে দুই দেশের সরকার দৃষ্টি আকর্শন করতে শান্তিপূর্ন জমায়েতে আহŸান জানান।
    বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) সভাপতি জনাব খায়রুজ্জামান কামাল বলেন, সমস্যা গুলির আলোকে বিগত দিনে আমাদের সমস্যা নিরসনের দাবীতে ভুক্তভুগীরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে ইতালিয়ান দূতবাসের কাছে সমাধান চাওয়ার পর তারা বিভিন্ন ভাবে আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কোন সমাধান দিতে পারেনি। ঢাকাস্থ ইতালিয়ান দূতাবাসের ভাষ্য মোতাবেক প্রতিদিন তাদের ভিসা প্রসেসিং এর সক্ষমতা গড়ে ১০০ টি ও মাসে ২৫০০ টি। বর্তমানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভিসা আবেদন প্রসেসিং করতে তাদের প্রায় ২ বছর প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করতে হলে ইতালিয়ান দুতবাসে ঢাকায় ১০ গুন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ইতালী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ঢাকা দূতবাসে ১০ গুন জনবল প্রেরণ করতে হবে। বিষয়টি গত এক বছর যাবত ইতালি সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলে আছে যা অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে সমাধান প্রয়েজেন।
    বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) সাধারন সম্পাদক, সামসুন নাহার আজিজ লীনা বলেন, লক্ষাধিক বাংলাদেশদের ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিশ্চিত করতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলনীর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) আহŸান জানিয়েছেন।

    যৌথ বিবৃতি:

    বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) এর পক্ষে-
    সভাপতি, জনাব খায়রুজ্জামান কামাল (ফোন নং-০১৭১১৮২০৭৮৩)
    সাধারন সম্পাদক, সামসুন নাহার আজিজ লীনা (ফোন নং-০১৭১৩০১৪৭০৯)
    যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জয়নাল আবেদীন জয় (ফোন নং-০১৭১৭০১২৬৬৭)

    বাংলাদেশর প্রবাসী উন্নয়ন সমিতি এর পক্ষে-
    নির্বাহী পরিচালক, শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন (ফোন নং-০১৮৯৪৬১৯১৫১)
    ইতালি নং +৩৯৩২৭৪৯৫৩৪৪২, ই-মেইল: info@italbangla.net

    লিগ্যাল এইড সার্ভিস ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার
    পরিচালক, এডভোকেট কামরুজ্জামান (ফোন নং-০১০১৩২৫৭৫৭২৯৯)

     

    Facebook Comments