• ASSOCIAZIONE COORDINAMENTO ITAL BANGLA E SVILUPPPO

    ইতাল বাংলা সমন্বয় ও উন্নয়ন সমিতি

    এর

    গঠন তন্ত্র

    ধারা ১- একটি সমিতি গঠিত হলো যার নাম –

    ASSOCIAZIONE COORDINAMENTO ITAL BANGLA E SVILUPPO

    বাংলায়- ইতাল বাংলা সমন্বয় ও উন্নয়ন সমিতি

    প্রধান অফিস – VIA BALDELLI -41,ROMA

    -এই সমিতির বর্তমান গঠনতন্ত্র কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হলো

    -এই সমিতি গনতান্ত্রিক ইতালী সহ যে কোন ইউরোপীয় দেশে এবং সমিতির সদস্যদের স্ব স্ব দেশে তার শাখা অফিস স্থাপন করতে পারবে

    -এই সমিতি ইতালীয় আইনের অধীনে স্থাপিত এবং পরিচালিত হবে ।

    -এই সমিতির কর্মকাণ্ড কোন প্রকার মুনাফা অর্জন এর অধিকার রহিত এবং সংঘবদ্ধ বৈশিষ্টের অধিকারী ।                       লক্ষ ও উদ্দেশ্য 

     

    ধারা ২- ইতালীয় রাষ্ট্রীয় সীমার মধ্যে সমিতির লক্ষ্য হচ্ছে- 

    ক) এশিয়া থেকে প্রত্যাগত ইমিগ্রান্ট,রিফিউজীদের সাহায্যে করা

    খ) ইমিগ্রান্ট,রিফিউজীদের গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠন গুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজনে তাদের নিয়ে ফেডারেশন গঠন করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করা এবং তাদের সাংগঠনিক বিকাশ সাধনে সাহায্য করা

    গ) ইতালীয় সমাজে ইমিগ্রান্টদের উৎপাদনমূখী কাজে উৎসাহিত করবে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য সাহায্য করবে তাদের সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানোর জন্য কাজ করবে

    ঘ) সদস্যগণ বিশেষ করে তাদের স্ব স্ব জাতীয় কৃষ্টি,সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক পরিচিতি তুলে ধরার জন্য কাজ করবে

    ঙ) ইমিগ্রান্ট ও রিফিউজী সদস্যগণ তাদের স্ব স্ব জাতীয় কৃষ্টি,সাংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান চর্চার ব্যাবস্থা করবে

     

    ধারা ৩- কর্মসূচীএই সমিতি তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে সকল কর্মসূচী পালন করবে তা হলো-

    ক) সমিতি একটা বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে যেখানে সদস্যগণ তাদের আলোচনা সভা,সমাবেশ,সেমিনার,শিক্ষামূলক সাক্ষাৎ,বিতর্ক,সাহিত্ত,কবিতা চরচা,খেলাধুলার প্রতিযোগীতা,নাট্য চরচা,হস্ত ও কুটির শিল্প দ্রব্যাদির প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা ও বিশেষ করে বাংলাদেশী দ্রব্যাদির প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা করবে ।

    খ) ইমিগ্রেন্টদের যে কোন ধরনের সাহায্য করা এবং ইমিগ্রেন্ট ও ইতালীয় নাগরীকদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরী সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগীতা করা সহ সামাজিক ও ট্রেড ইউনিয়ন গঠন পূর্বক সদসদের উন্নয়ন ও সাহায্যের জন্য সর্বপ্রকার উন্নয়নমূখী কাজ চালিয়ে যাবে।

    গ) বাংলাদেশ সহ এশিয়ার দেশ সমূহের বিভিন্ন সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক সমস্যা সমূহকে কেন্দ্র করে তাদের সহজগীতার উদ্দেশ্যে গনজমায়েত,আলোচনা সভা,সেমিনার,গনসংযোগমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনসাধারনকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে ।

    ঘ) সমিতি তার লক্ষ্য সাধনের উদ্দেশ্যে ইতালীয় আইনের আওতাধীন যে কোন ধরনের অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ মূলক তৎপরতা চালাবে ।

    ঙ) ইমিগ্রেন্ট,রিফিউজি এবং ইতালীয় নাগরীক সহ যে কোন মানুষের সহযোগীতা করার জন্য আইনগত পরামর্শ,ইতালীয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র,স্কুল,প্রশিক্ষন কেন্দ্র,পেশাগত প্রশিক্ষন কেন্দ্র খুলবে এবং শিক্ষা উত্তীর্ণকালীন কর্মসংস্থান প্রকল্প সহ সদস্যদের কর্মসংস্থান ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে ।

    চ) পেশাগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের প্রয়োজনে বাংলাদেশী ইমিগ্রেন্ট সহ এশিয়ার ইমিগ্রেন্টদের জন্য সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিনিময় সফরের ব্যাবস্থা করবে ।

    ছ)সমিতির সকল কর্মকাণ্ড সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত চাঁদা,অনুদান সহ বিভিন্ন সরকারী,বে-সরকারী প্রতিস্থান,ব্যাক্তিগত দান ও অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে চালিত হবে ।

    ধারা ৪-সদস্য- এশিয়া থেকে আগত ইমিগ্রেন্ট,রিফিউজি,স্থায়ী,অস্থায়ী ও চিকিৎসা গ্রহনের উদ্দেশ্যে অবস্থানরত যে কোন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ ব্যাক্তি এ সমিতির সদস্য হতে পারবেন সমিতির কর্মকাণ্ডে বিনা স্বার্থে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহন ও সহযোগীটা করতে আগ্রহী যে কোন ইতালীয়ান নাগরিক এই সমিতির সদস্য হতে পারবেন

     

    ধারা ৫ – সদস্যের বিভাগ বা স্তর – সমিতির সদস্যপদ তিন ভাগে বিভক্ত-

    ১) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

    ২) সম্মানিত সদস্য

    ৩) সাধারন সদস্য

    ১) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য – এই সমিতির প্রতিষ্ঠার সময় যে সকল ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠার কাজে সক্রিয় ছিলেন এবং বর্তমান সংবিধান মেনে সমিতির উন্নয়নে কাজ করছেন তারা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কোন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তার সদস্যপদ লিখিত ভাবে প্রত্যাহারের আবেদন না করা পর্যন্ত তিনি এই সমিতির আজীবন সদস্য হয়ে থাকবেন

    ২) সম্মানিত সদস্য- কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ দ্বারা অনুমোদনক্রমে উচ্চ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সহযোগী গন সমিতির সম্মানিত সদস্যপদ লাভ করবেন

    ৩) সাধারন সদস্য- পূর্ণ বয়স্ক যে কোন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যাক্তি সমিতির গঠনতন্ত্র মেনে চলার অঙ্গীকার করে লিখিত আবেদন করার প্রেক্ষিতে সাধারন সদস্যপদ পেতে পারেন  

     

    ধারা-৬- সাংগঠনিক বিভাগ বা স্তর-

    ক) জাতীয় পরিষদ ।

    খ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি

    গ) কেন্দ্রীয় সচিবালয়

    ঘ) কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট

    ঙ) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম

    চ) হিসাবরক্ষন বোর্ড

     

    ধারা-৭- জাতীয় পরিষদ- সকল রিজিওনাল,প্রভিন্সিয়াল,কম্যুনাল প্রেসিডেন্টগন এবং প্রভিন্স ও কমুনে সহ প্রধান প্রধান লোকালয় এর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা জাতীয় পরিষদ গঠিত হবে

     জাতীয় পরিষদ এর সদস্যগন বিভিন্ন প্রভিন্স,কম্যুনে এর সম্মেলনে কাউন্সেলর দ্বারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন শুধু মাত্র ঐ নির্বাচন প্রতিনিধিগন জাতীয় পরিষদে অংশগ্রহন ও ভোট দিতে পারবেন

     যদি প্রভিন্স ও কম্যুনে পর্যায়ে কমিটি গঠিত না হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন কমিসারিওতে যে কমিটি থাকবে তার প্রতিনিধিগন যোগ দিতে পারবেন

     জাতীয় পরিষদ শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট এর অফিস এর কর্মকর্তা নির্বাচন, অডিট বোর্ড নির্বাচন সহ বাৎসরিক ব্যালান্স অনুমোদন এবং সংবিধান সংশোধন ও সংযোজন এর দায়িত্ব পালন করবে  

    সাধারন ভাবে বছরে একবার জাতীয় পরিষদ এর সভা বসবে এছাড়া কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে তিনি জাতীয় পরিষদ এর সভা আহবান করতে পারেন বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অর্ধেক এর বেশি সদস্যের লিখিত আবে্দন নিয়ে জাতীয় পরিষদের সভা আহবান করা যেতে পারে

    ধারা -৮- কেন্দ্রীয় পরিচালক মন্ডলী- কেন্দ্রীয় পরিচালক মন্ডলী সর্বোচ্চ ৬০(ষাট) জন সদস্য দ্বারা গঠিত হবে এর সকল সদস্য জাতীয় পরিষদ দ্বারা নির্বাচন হবেন ২০ জন বিভিন্ন রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট ও ৫ জন বিভিন্ন প্রভিন্সিয়াল প্রেসিডেন্ট এর সমন্বয়ে প্রেসিডিয়াম বা প্রেসিডেন্ট এর দফতর সাজানো হবে

    কেন্দ্রীয় পরিচালক মন্ডলী সাধারন ভাবে বছর ৩ বার মিলিত হবেন এ ছাড়াও প্রয়োজন বোধ জরুরী অধিবেশন ডাকা যেতে পারে সাধারনত-জরুরী অধিবেশন কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট এর আহবানে অথবা অর্ধেক এর চেয়ে একজন বেশী সদস্যের আহবানে প্রেসিডেন্ট সভা ডাকবেন

    কেন্দ্রীয় পরিচালক মন্ডলীর কাজের মেয়াদ ২ বৎসর । তবে প্রয়োজনে সদস্য বৃন্দ পূনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন । যদি কোন সদস্য দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন অথবা সঠিক কারন প্রদর্শন ব্যাতিরেকে সভায় পর পর তিন বার অনুপস্থিত থাকেন তবে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গন্য হবে । এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার রাখেন । 

    ধারা-৯- কেন্দ্রীয় সচিবালয়- কেন্দ্রীয় সচিবালয় ৭ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে । এরা কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি কর্তৃক ১ বৎসর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন । কেন্দ্রীয় সচিবালয় কেন্দ্রীয় পরিচালক মন্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতির কর্মকাণ্ড সমন্বয় সাধন,বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা এবং কমিটির কর্মকাণ্ডের সংযোগ সাধন ও সমন্বয় করবেন ।

    কেন্দ্রীয় সচিবালয় প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্টের আহবানে মিলিত হয়ে রিপোর্ট প্রদান করবেন ।

    ধারা-১০- কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট- সমিতির কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট সমিতির সকল কর্মকাণ্ডে আইন গত ও তৃতীয় পক্ষের সহিত সমিতির প্রতিনিধিত্ব করবেন ।

    প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সমিতির সকল কার্যক্রম পরিচালনা ও তত্বাবধান করা । জাতীয় পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত কার্যক্রম জাতীয় সচিবালয় এর মাধ্যমে পরিচালনায় করবেন ।

    কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট জাতীয় সমাবেশ, কেন্দ্রীয় কমিটি, সচিবালয় এবং সকল সদস্যগন এর কার্যক্রমে সভাপতিত্ব করবেন ।প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ২ বছর ।

    প্রেসিডেন্ট এর অবর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট অথবা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নিয়োজিত ব্যাক্তি তার দায়িত্ব পালন করবেন ।

    ধারা-১১-হিসাব বিভাগ- হিসাব বিভাগ ১ জন প্রেসিডেন্ট এবং ৪ জন সদস্য দ্বারা গঠিত হবে ।এরা সমিতির সকল অর্থনৈতিক খরচাদির হিসাব রাখবেন । 

    ধারা-১২-হিসাব নিরীক্ষন বোর্ড- একজন প্রেসিডেন্ট ও ৪ জন সদস্য সমন্বয়ে হিসাব নিরীক্ষন বোর্ড গঠিত হবে । তাদের দায়িত্ব আইনানুগ ভাবে সমিতির সর্বপ্রকার হিসাব নিকাশ পরীক্ষা করা ।

    ধারা-১৩-এডমিনিস্ট্রেটর- সংবিধান অনুসারে সমিতির সকল অভ্যন্তরীন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট এর পাশাপাশি এডমিনিস্ট্রেটর সকল কর্মকাণ্ডে প্রতিনিধিত্ব করার এখতিয়ার প্রাপ্ত ।

    ধারা-১৪-সেক্রেটারী- কেন্দ্রীয় পরিষদে অনুমোদিত সিদ্ধান্ত সমূহ প্রেসিডেন্ট এর অফিস এর কাজের সাথে সংগহতি রেখে কার্যক্রম চালানো,দেখা শুনা,তত্বাবধান করা সহ বিভিন্ন সাংগঠনিক অঙ্গ কমিটির কার্যক্রম এর তাদারকী করা এবং সংগঠন করা সেক্রেটারীর দায়িত্ব ।

    ধারা-১৫- সাংগঠনিক বিন্যাস- সমিতির লক্ষ্য সাধনের উদ্দেশ্যে সকল রিজিওনাল,প্রভিন্সিয়াল,কম্যুনাল, থাকা ও মহল্লা পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে ।তবে প্রধান প্রধান শহর ও পৌরসভা গুলিকে প্রভিন্সিয়াল  কমিটির মর্যাদা দেয়া হবে ।

    সংগঠনের কাঠামো অনুসারে বিভিন্ন রিজিওনাল ও প্রভিন্সিয়াল কমিটি তার কর্মকাণ্ড স্বাধীন ভাবে চালিয়ে যেতে পারবে ।এজন্য তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনার অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না ।

    রিজিওনাল,প্রভিন্সিয়াল,ও কম্যুনাল কমিটি সমুহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীন ।কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম অফিস বিভিন্ন কমিটির কার্যক্রম তদারকী,নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা সংরক্ষন করে এবং কমিটির অনুমোদন দান এবং বাতিল করার ক্ষমতা রাখে ।

    বিভিন্ন প্রধান শহর,প্রভিন্সিয়াল শহর ও কম্যুনাল কমিটি সহ বিভিন্ন স্থানীয় কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি কমিশন পাঠাতে পারবে । 

    ধারা-১৬- রিজিওনাল কমিটি- রিজিওনাল কমিটির দ্বায়িত্ব হচ্ছে প্রভিন্সিয়াল,কম্যুনাল ও স্থানীয় কমিটি সমূহের কার্যক্রম তদারকি করা এবং রিজিওনাল পাবলিক ও প্রাইভেট সংস্থার অফিস গুলিতে স্থানীয় ভাবে প্রতিনিধিত্ব করা ।রিজিওনাল কমিটি মোট দশজন সদস্য নিয়ে গঠিত ।এর মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন কম্যুনে এবং প্রধান শহর গুলি থেকে নির্বাচিত হবেন ।

    ধারা-১৭-  প্রভিন্সিয়াল কমিটি- প্রভিন্সিয়াল কমিটি সমূহ স্ব স্ব প্রভিন্সেরে মধ্যে তাদের কর্মকাণ্ড  পরিচালনা করবে ।প্রভিন্সের প্রধান শহর কমিতি,প্রভিন্সিয়াল কমিটি হিসাবে গন্য হবে ।প্রভিন্সিয়াল কমিটি মোট পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট হবে যারা প্রভিন্সের বিভিন্ন কম্যুনাল কমিটি থেকে নির্বাচন হবেন এবং তারা প্রভিন্সিয়াল পরিষদ গঠন করবেন ।

    -প্রভিন্সিয়াল কমিটির বিন্যাস-

    ১) প্রভিন্সিয়াল পরিষদ 

    ২) প্রেসিডিন্ট

    ৩) প্রেসিডেন্টের অফিস

    ৪) কোষাধ্যক্ষ

    প্রভিন্সিয়াল পরিষদ একজন প্রেসিডেন্ট সহ প্রেসিডেন্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করবেন।

    প্রভিন্সিয়াল কমিটি প্রভিন্সের স্থানীয় ও কম্যুনাল কমিটি গুলোর কার্যক্রম তদারকি ও সংগঠিত করবে।লোক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কমিটি ও থানা পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে ।প্রতিটি কম্যুনের একজন প্রেসিডেন্ট, ১ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১ জন সেক্রেটারী ও একজন কোষাধ্যক্ষ নিয়ে কমিটি গঠিত হবে ।

    ধারা-১৮-পরিষদ এর বিন্যাস- প্রভিন্সিয়াল ও কম্যুনে পর্যায়ে যারা লিখিত সদস্য হবেন তারা সকলেই এই আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হবেন ।স্থানীয় পরিষদে সাধারন নিয়ম অনুসারে যে কোন লিখিত সদস্য সর্বোচ্চ ২ জন সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন(তাদের লিখিত প্রতিনিধি পত্রের মাধ্যমে)।

    সাধারন ভাবে পরিষদ বছরে ১ বার অধিবেশনে মিলিত হবে ।তবে অর্ধেকের বেশী সদস্যের লিখিত আবেদন ক্রমে বিশেষ অধিবেশন আহবান করা যেতে পারে ।

    প্রভিন্সিয়াল পরিষদ প্রভিন্সের এবং কম্যুনের অনুমোদন দান করবে এবং বার্ষিক বাজেট ও বিগত বাৎসরিক হিসাব অনুমোদন করবে । এছাড়াও প্রভিন্সিয়াল পরিষদ এর অধিবেশন এর জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করবে এবং জাতীয় পরিষদ থেকে রিজিওনাল,প্রভিন্সিয়াল ও কম্যুনাল কমিটি গুলোর অনুমোদন করবেন ।

    ধারা-১৯- উপদেষ্টা কমিশন ও কমিটি- সমিতি তার সাংবিধানিক কর্মসূচি পালন করার প্রয়োজনে এবং বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য বিশেষ দক্ষ ব্যাক্তির সমন্বয়ে বিভিন্ন কমিটি যেমন উপদেষ্টা পরিষদ,পরিকল্পনা ও টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে পারবে এবং তারা সমিতির সদস্য এর বাহির হতে ও হতে পারবেন । 

    উপদেষ্টা পরিষদ,কমিশন এবং কমিটি সমূহ শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সচিবালয় এবং কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের উপর গঠন করা যাবে ।

    ধারা-২০- সাধারন দায়িত্ব- কর্মকর্তাগণ তাদের দায়িত্ব অনুমোদন হবার পরে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবেন যতদিন পর্যন্ত তার দায়িত্ব মেয়াদ বহাল থাকবে ততদিন এই গঠনতন্ত্র মত দায়িত্ব পালন করবেন, কারো পদ শূন্য হলে বা দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে কমিটির কর্মকর্তা গন বাহির থেকে কাউকে নিযুক্ত করতে পারবেন সমিতির কোন বেতন ভুক্ত কর্মী নিয়োগদান এই সংবিধানের পরিপন্থী এই সমিতির সকল কর্মকর্তা ও সহযোগী গন অবৈতনিক তবে যারা এখানে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন তারা তাদের খরচের জন্য ভাউচার প্রদান সাপেক্ষে খরচ ও ভাতা নিতে পারবেন  

    ধারা-২১- প্রশাসন- প্রশাসন একজন প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত হবে, যিনি সমিতির যাবতীয় অর্থ আদায়,ব্যায় ইত্যাদি দেখা শোনা করবেন এছাড়াও পাবলিক ও প্রাইভেট সংস্থা ও ব্যাক্তির কাছ থেকে দান অনুদান সংগ্রহ করবে । আইন গত ভাবে প্রশাসক সমিতি অভ্যন্তরীন পরিচালনা ও দেখা শোনার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ।

    ধারা-২২- প্রেসিডিয়াম অফিস- প্রেসিডেন্ট অফিস একজন প্রেসিডেন্ট দুইজন ভাইস প্রেসিডেন্ট এক জন সেক্রেটারী জেনারেল ও একজন প্রশাসক নিয়ে গঠিত,যারা সরাসরি কেন্দ্রীয় পরিষদ দ্বারা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হন । প্রেসিডিয়াম অফিস সরাসরি কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির কাছে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রমের রিপোর্ট প্রদান ও নির্দেশ পেয়ে কার্যক্রম চালিত যাবে ।

    ধারা-২৩- হিসাব বৎসর- সমিতির হিসাব বৎসর ১ লা জানুয়ারী থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে।

    ধারা-২৪- সমিতির কর্মবর্ষ- সমিতির তৎপরতার বর্ষ সংবিধান অনুযায়ী ১ লা সেপ্টেম্বর হতে পরবর্তী বছরের ১ লা জুন পর্যন্ত স্থায়ী হবে । কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনে তা জুলাই অথবা আগস্ট মাস পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে ।

    ধারা-২৫- সদস্য পদ প্রত্যাহার- লিখিত আবেদনের মাধ্যমে যে কোন সদস্য তার সদস্য পদ প্রত্যাহার করতে পারবেন । সমিতির কার্যক্রমের ব্যার্থতার দায়ভার কোন সদস্যর উপর আবর্তিত হলে তারা  প্রশাসনের সিদ্ধান্তে সদস্য পদ হারাতে পারেন ।

    ধারা-২৬- নিয়মকানুন- গঠন্তন্ত্র বা সাংবিধান কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি দ্বারা অনুমোদন মাধ্যমে গঠিত হবে পরবর্তী পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সমিতি এই সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে

    ধারা-২৭- সংবিধান্ পরিবর্তন ও সংযোজন- শুধু মাত্র জাতীয় পরিষদ এর অর্ধেক এর বেশি সদস্যের উপস্থিতিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত হলেই এই সংবিধান এর পরিবরতন,পরিবর্ধন ও সংযোজন করা সম্ভব অন্যথায় এই সংবিধান পরিবর্তন যোগ্য নয় ।

    ধারা-২৮- বিলোপ- এই সমিতি ততক্ষণ পর্যন্ত বিলোপ সাধন সম্ভব নয় যতক্ষণ পর্যন্ত একান্তই সমিতি পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত কারন প্রদর্শন করে কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি জাতীয় পরিষদ এ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রস্তাব এর উপর এক-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ইতালীর সিভিল কোড আইনের ২১ ও ৩১ ধারা বলে জাতীয় পরিষদ এই সমিতির বিলোপ ঘোষণা করতে পারে । বিলোপ সংক্রান্ত জাতীয় পরিষদ অধিবেশন এর পত্র কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে প্রতিটি প্রতিনিধির কাছে পৌঁছাতে হবে এবং দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধির প্রয়োজন হবে প্রথম অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য । দ্বিতীয় অধিবেশন কমপক্ষে ২০ দিনের ব্যবধানে ডাকতে হবে ।এই অধিবেশনে কমপক্ষে অর্ধেক প্রতিনিধির উপস্থিতি প্রয়োজন হবে । প্রথম ও দ্বিতীয়  অধিবেশনে যদি বিলোপের পক্ষে বেশি ও বিপক্ষে কম প্রতিবাদ হয় তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে ।

    সমিতি বিলুপ্ত হবার পর সমিতিকে তার অবশিষ্ট কার্যক্রম ও বিষয় সম্পত্তি একই জাতীয় অন্য পাবলিক অথবা প্রাইভেট সংগঠনের হাতে অর্পণ করে যেতে হবে ।

    ধারা-২৯- যতক্ষণ পর্যন্ত প্রথম জাতীয় পরিষদ অধিবেশন ডাকা সম্ভব হচ্ছে এবং নতুন কেন্দ্রীয় পরিচালক কমিটির নির্বাচন না হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত প্রথম ৩ বছর এর কার্যক্রম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের উপর নিয়োজিত থাকবে । যদি এই সংগঠনের কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হয় এবং সংগঠনের বিভিন্ন শাখা ও প্রসাশনিক কাঠামো ৩ বছর পূর্বেই গঠন করা সম্ভব হয় তবে কেন্দ্রীয় কমিটি যথা শীঘ্রই জাতীয় পরিষদ এর অধিবেশন ডাকতে পারে ।

    বর্তমানে সমিতির কর্ম সংগঠিত করার উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ত,দুই জন ভাইস প্রেসিদেন্ত,সেক্রেটারী জেনারেল ও প্রসাশক দ্বারা গঠিত হবে ।এই সমিতির সংবিধানের অনুল্লেখিত আইন এবং নিয়ম কানুনের ক্ষেত্রে ইতালীয় বিশেষ সিভিল কোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে ।

    (এই সংবিধান ইতালীয়ান ভাষায় লিখিত মূল সংবিধানের অনুবাদ উভয় ভাষায় লিখিত সংবিধানে বিরোধ দেখা দিলে ইতলীয়ান ভাষায় লিখিত সংবিধান অনুসরন করতে হবে)

    Facebook Comments